(ভাইভা অভিজ্ঞতা)


BPSC (ভাইভা অভিজ্ঞতা)
পোস্টঃ এস্টিমেটর (DPHE).
বোর্ড পরিচিতিঃ নূরজাহান ম্যাডামসহ ৩ জন।
প্রশ্নকর্তাঃ ম্যাডাম নিজেই।
১.আমি- দরজা খুলে অনুমতি নিয়ে দরজা খুব সুন্দর করে বন্ধ করে কাছে গিয়ে সালাম দিলাম।
মেম- সালাম নিয়ে বসতে বললেন।
২. আমি- ধন্যবাদ।
৩. মেম- তুমি কি পরিক্ষা ঢাকা দিয়েছো?
আমি- জী মেম ( আমার রেজীঃ নং সিরিয়াল ময়মনসিংহ দেয়া ছিল)
৪.মেম- নিজের সম্পর্কে বাংলায় বল?
আমি- একটু বলতেই নার্ভাস হয়ে মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না,,, মনে হচ্ছে অসুস্থ।
৫. মেম- তুমি কি অসুস্থ?
আমি- না মেম ( আমার মাথার চুল গুলো এতই ছোট ছিল যে মানসিক রোগীদের মত লাগছিল)
৬. মেম- না তুমি অসুস্থ
আমি- না মেম,,,জার্নি করে আসছি তো তাই হয়তো এমন মনে হচ্ছে ( উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগানো শুরু)।
৭. মেম- আন্তরিকতার সাথে জিজ্ঞেস করলেন কোথা থেকে আসছো?
আমি- ময়মনসিংহ থেকে মেম।
৮. মেমঃ কালকে আসলে না কেনো? (ইমোশনাল হয়ে)
আমি- মেম আমার ঢাকা থাকার মত কেউ নেই তো। ( মেডাম ইমোশনাল হয়ে গেলেন)
৯.মেম- ঠিক আছে বল ( পরে আর নার্ভাস নেই) মেম বললেন গুড।
আমি- বাকীটুকু বললাম ( সুন্দরভাবে)
প্রশ্নকর্তা - আমার ডানদিকের স্যার
১. স্যার- তোমার পোস্ট এর নাম কি?
আমি- বললাম।
২. স্যার-মন্ত্রণালয়ের নাম কি?
আমি-বললাম
৩. স্যার- DPHE এর কাজ কি?
আমি- বললাম। ( নেট থেকে জেনে গেছিলাম)
৪.স্যার -এস্টিমেটর এর কাজ কি?
আমিঃ বললাম
৫. স্যার- কাকে কত % দিবেন?
আমি - বললাম। ঠিকাদারের % বলি নাই
৬. ঠিকাদারের % আছে না?
আমি - জী স্যার,, ১০%
৭. গুড। স্যার আবার সেই ইমোশনাল নিয়ে বললেন ময়মনসিংহ হতে কি ট্রেন দিয়ে এসেছো?
আমি - জী স্যার।
৮. 1 cft RCC ঢালাইয়ে কত ব্যাগ সিমেন্ট লাগে?
আমি- বললাম ( মূখস্ত ছিল)
৯.স্যার-তাহলে 1cft গাথুনিতে কত ব্যাগ সিমেন্ট লাগবে? রেশিও বলল ১ঃ৪
আমি -স্যার একটা খাতা লাগবে বের করে বলতে হবে। স্যার খাতা দিলেন আমি বের করে বললাম। স্যার গুড বললেন।
প্রশ্নকর্তা,,, আমার বাম দিকের স্যার।
১. স্যার - আবার বললেন DPHE এর কাজ বলেন। আমি - বললাম।
২. স্যার - নিরাপদ পানি বলতে কি বুঝেন? আমি- বললাম
৩. নিরাপদ পানির টিউবওয়েল এ কোন রঙ করা হয়।আমি- বললাম।
৪. স্যার-নিরাপদ পানির উৎস বলেন?আমি - বৃষ্টির পানি বললাম।
৫. স্যার - আরেকটি বলেন?
আমি- সবুজ রঙকরা টিউবওয়েল এর কথা বলতেই স্যার হেসে দিলেন।
৬. স্যার - আপনার এলাকাতে আর্সেনিক আছে?
আমি - জী স্যার
৭. স্যার- কিভাবে বুঝলেন?
আমিঃ স্যার টিউবওয়েল এ পরিক্ষা করে লাল রঙ করা হয়েছে তাই বুঝে নিছি আর্সেনিক আছে। স্যার আরও অনেক প্রশ্ন নিয়ে প্যাছাইছেন।।। কিন্তু আটকাতে পারেন নি। কাগজপত্র দেখে আসতে বললেন। সালাম দিয়ে দুই কদম পিছিয়ে ঘুরতে যাবো এই মুহুর্তে আবার চেয়ারম্যান মেডাম বললেন দাড়াও!দাড়াতেই মেডাম জিগাইলেন আজকেই কি ময়মনসিংহ ব্যাক করবে। আমি বললাম জী মেডাম।মেডাম বললেন ওকে যাও,,,।আবার সালাম দিয়ে বের হয়ে আসলাম।
আমার ভাইভা দেয়ার আগেই অনেক কনফিডেন্স ছিল এবং মনে আনন্দ ছিল জব টা আমার হবে। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আমাকে এবার আর খালি হাতে ফেরান নাই। তাই সবার উদ্দেশ্য বলা যারা সরকারি চাকুরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন কেউ হতাশ হবেন না,,,২/৪ টা ভাইভা দিয়েই মন খারাপ করবেন না। লেগে থাকলে নিশ্চয় আল্লাহ আপনাকে খালি হাতে ফেরাবেন না।আমি ৬৩ টা এক্সাম দিয়ে মাত্র ৪ টা ভাইভার সম্মুখীন হয়েছি তাও আবার ৫৬ নাম্বার পরিক্ষায় ১ম রিটেন টিকা। প্রথম ২ টা ভাইভায় আমার জব হয় নাই। ৩ নাম্বার ভাইভায় জব হয়েছে। তাই ৪ নাম্বার ভাইভা আর দেই নাই। আমি কিন্তু হাল ছাড়ি নি। আমি যদি ২০১২ তে বের হয়ে ২০১৮ সালের শেষের দিকে সফলতার মুখ দেখতে পারি,,,, ,, তাহলে আপনারা পারবেন না কেনো?
লেখা তে কোন ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই কে ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post